মুসলিম বিশ্বের আন্তর্জাতিক শোক দিবস শোহাদায়ে কারবালা দিবস। ‘কারবালা’ আজও ঘটে চলেছে দেশে দেশে, দুনিয়ার সব নদী ‘ফোরাত’-এর কান্না হয়ে বয়ে চলেছে। ‘কুফা’ যেন কুফা হয়ে সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসেছে মানবসভ্যতার ঘাড়ে মানবাধিকারবঞ্চিত প্রতিটি জনপদে। কারবালার শিক্ষা হলো সর্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন নবীপ্রেম, আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা, ধর্মনিষ্ঠা, আত্মত্যাগ, দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য পালন, মানুষের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করা। ভোগে নয়, ত্যাগেই সুখের সন্ধান করা। জুলুম ও অন্যায়ের কাছে মাথানত না করা, সব সময় আল্লাহর ওপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখা। প্রতিটি মহররম, প্রতিটি আশুরা ও শোহাদায়ে কারবালা দিবস আমাদের ত্যাগের শিক্ষা দেয়, আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত করে। ভয়কে জয় করে, নিজের জীবন উৎসর্গ করে মুক্তির পথ তৈরি করাই কারবালার মূল শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘উত্তম জিহাদ হলো জালিম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা।’ (তিরমিজি, আবুদাউদ ও ইবনে মাজাহ)
● মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী
যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি; সহকারী অধ্যাপক, আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম
smusmangonee@gmail.com
Leave a Reply